আশরাফুল হাসান মোরাদ
আমাদের দেশে যে সকল ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে ড্রাগন একটা অন্যতম বিশেষ ফল। পাকুন্দিয়া থানাধীন বুরুদিয়া গ্রামে ড্রাগন ফল চাষ করে ব্যাপকভাবে সফল হয়েছেন আঃ লতিফ মাস্টার । তিনি পেশায় যদিও একজন শিক্ষক কিন্তু কৃষির সাথে তার সর্ম্পক আত্মার।
ড্রাগন ফল এটি এক প্রজাতির ফল, একধরনের ফণীমনসা প্রজাতির ফল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে এর মহাজাতি হায়লোসিরিয়াস । এই ফল মূলত ড্রাগন ফল হিসেবে পরিচিত। গণচীন-এর লোকেরা এটিকে আগুনে ড্রাগন ফল এবং ড্রাগন মুক্তার ফল বলে, ভিয়েতনামে মিষ্টি ড্রাগন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ড্রাগন ফল, থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক নামে পরিচিত।
পাকুন্দিয়া প্রতিদিনের পক্ষ থেকে বাগান পরিদর্শন কালে তার ছেলে রাজিব জানায় যে, যদিও তিনি শিক্ষক কিন্তু শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রকম কৃষি চাষে গভীর আগ্রহী। যখন ড্রাগন চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয় তখন পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা তাদেরকে ব্যাপকভাবে সহায়তা প্রধান করেছেন এবং দায়িত্বরত অফিসার বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন যে ধান,পাটও অন্যান্য ফসল চাষের চেয়ে ড্রাগন চাষ লাভজনক বেশি। প্রায় ১৭শতাংশ জমিতে ড্রাগন চাষ করে তিনি তিনি বাম্পার ফলন পেয়েছেন।
চাষকৃত জমি থেকে থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১২/১৬ কেজি ফল সংগ্রহ করা যায়। যার বাজার দর ৪৫০/ ৫০০ টাকা প্রতি কেজি। যেখানে থেকে সম্পূর্ণ বিষ মুক্ত ফল পাওয়া যায়, তারা কোনো রকম রাসায়নিক সার ছাড়াই প্রাকৃতিক জৈব সার দিয়ে উৎপাদন করে বলে জানান।
তিনি আরো জানান আশপাশের অনেক কৃষকই তার এ চাষের সফলতা দেখে উদ্যোগ নিচ্ছে ড্রাগন চাষের। তিনি মনে করেন অন্য ফসল চাষের চাইতে যদি কৃষক ফল চাষে বেশি মনোযোগী হয় তবে ব্যাপক ভাবে সফলকামী হবে।