সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৮৯ বছর বয়সেও মিলেনি ভাতার কার্ড
/ ১৪৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আয়মনা খাতুনের জন্ম ১৯৩২ সালে। স্বামী মারা গিয়েছে ৩০ বছর। আসছে ডিসেম্বরে তাঁর ৮৯ বছর পূর্ণ হবে। তারপরও আয়মনা খাতুন পাননি বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২। স্বামীহারা আয়মনা খাতুন নানা রোগ-শোকে ভুগছেন। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তার জন্য কষ্টকর। ক্ষোভে দুঃখে আয়মনার প্রশ্ন, আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবো? এত দিনেও তিনি বয়স্ক, বিধবা বা সরকারি অন্য কোনো ভাতার কার্ড পাননি।

আয়মনা খাতুন উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের চরপলাশ গ্রামের মৃত আব্দুল ছোবানের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কত মানুষের কাছে গেলাম। ভোটের সময় কত মানুষ আশ্বাস দিল। কিন্তু কেউই কিছুই দিল না।

আয়মনা খাতুন থাকেন স্বামীর বাড়ীতে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছেলে পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন, রাজমিস্ত্রির আয় দিয়ে কোনোরকমে চলে সংসার।আমার মা বয়স্ক ভাতার যোগ্য হলেও এখনো কোনো ভাতা পান না।

সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ টিটুকে সোমবার দুপরে একাধিক বার মোবাইলে কল করে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, মাত্র আপনার কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে ওই নারীর কাগজপত্র জমা দিলে শিগগিরই তিনি ভাতার আওতায় আসবেন। এসব তালিকা জনপ্রতিনিধিরা করেন। অনেক সময় কেউ কেউ বাদ পড়ে যান। বিষয়টি বিবেচনা করে চলতি বছর থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ