মহিম ইসলাম : পাকুন্দিয়ার নারান্দীতে “নারান্দী ঐকতান যুবকল্যান সংগঠন এর পক্ষ থেকে প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা সালমান শাহ্ র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল (৬ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্টিত হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি সাকলাইন আফ্রিদি দুর্জয়, সাধারন সম্পাদক রাকিবুল হাসান সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। তারা প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ্ র বর্নাট্য অভিনয় জীবন ও বাংলাদেশের চলচিত্র অঙ্গনে অসামান্য অবদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অালোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি সাকলাইন অাফ্রিদী দুর্জয় বলেন-
সালমান শাহ্ শুধু একজন অভিনেতা ছিলেনা,সালমান শাহ্ একটা চেতনা।পশ্চিমা ও ভিনদেশী সংস্কৃতিতে যখন দেশীয় সংস্কৃতি অাজ বিপর্যস্ত,তখন এই ভিনদেশী এই কালচারকে কাউন্টার দেওয়ার একজন সালমান শাহ্ র মত স্টাইল অাইকনের অভাব অাজ জাতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
উল্লেখ্য ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ক্ষণজন্মা চিত্রনায়ক সালমান শাহ সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেয়ার দেশে।আজ রোববার তার ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
মাত্র তিন বছর বড় পর্দায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন সালমান শাহ। এই অল্প সময়েই তিনি দর্শকদের হৃদয় জয় করে একের পর এক অভিনয় করেছেন মোট ২৭টি সিনেমায়।
দেশীয় সিনেমায় ধূমকেতু হয়েই যেন ধরা দিয়েছিলেন সালমান শাহ। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন তিনি।
একই সিনেমায় অভিষেক ঘটে চিত্রনায়িকা মৌসুমীরও।
প্রথম সিনেমাতেই সাফল্যের দেখা পান তিনি। তার চলন-বলন পোশাক-পরিচ্ছদ তরুণদের মন জয় করে নেয়। নায়ক সালমান ও ব্যক্তি সালমান দুইটিই জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্পর্শ করে।
সালমান শাহ নামটি ছিল সিনেমার জন্য। তবে তার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। ১৯৭০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী।