বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জমজমের পানি দ্বারা পবিত্র কাবা ঘরের গোসল সম্পন্ন
/ ১৮৯ Time View
Update : শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ

পাপ্র ডেস্ক : বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে এগারোটা) পবিত্র মক্কা নগরীর গভর্নর ও প্রধান খতিবের নেতৃত্বে জমজমের পানি দিয়ে পবিত্র কাবা ধোয়ার কাজ শেষ হল।

সৌদি বাদশাহ সালমানের পক্ষে মক্কা নগরীর গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল কাবা শরিফ ধোয়া ও পরিচ্ছন্নতার কাজে নেতৃত্ব দেন। এ খবর জানিয়েছে সৌদি গেজেট।

পূর্ব ঘোষণা ও রীতি অনুযায়ী সকালে কাবা ধোয়ার কথা থাকলেও এবার রীতি ভেঙে এশার নামাজের পর পবিত্র কাবা ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হল।

কাবা ধোয়ার কাজে হারামাইন প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যান ও কাবা শরিফের প্রধান খতিব শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস, স্পেশাল ইমারর্জেন্সি ফোর্সের কমান্ডার ও হজ সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ডার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও অংশ নেন। অন্য সময় বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশ নিলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের কাবা ধোয়ার কাজে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

কাবা ধোয়া উপলক্ষে সন্ধ্যার পর পর কাবা শরিফের দরজা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর মক্কায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কাবা ধোয়ার কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়। বৃষ্টি থামলে সবাই কাবা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা পবিত্র জমজমের পানির সঙ্গে গোলাপ, উন্নতমানের সুগন্ধি উদ ও কস্তুরি মিশ্রিত পানি দিয়ে পবিত্র কাবা ঘরের অভ্যন্তরে ধোয়ামোছার কাজ করেন। পবিত্র কাবা ধোয়ার পর বের হয়ে হাজরে আসওয়াদে (কালো পাথর) চুম্বন করেন। অতঃপর কাবা তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করেন।

কাবা শরিফ ধোয়ার সময় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে। এ সময় কাবা শরিফের চারদিকে বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রাখেন।

রীতি অনুযায়ী, প্রত্যেক মহররম মাসে পবিত্র কাবা ধোয়া হলেও আরাফার দিন (৯ জিলহজ) কাবার গিলাফ বদলানো হয়। কাবা ধোয়াকে সৌদি সরকার সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটা একটা উৎসবও বটে। কারণ কোরআন ও হাদিসে বায়তুল্লাহর মর্যাদা দান, একে পবিত্র রাখা ও পরিশুদ্ধ করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।

কাবা ঘর পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নবীর একটি আদর্শ। মক্কা বিজয়ের দিন তিনি সাহাবায়ে কেরামদের সঙ্গে নিয়ে কাবা ঘরে প্রবেশ করে বাহ্যিক ও মৌলিকভাবে কাবা ঘরের পরিশুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেন। কাবায় থাকা মূর্তিগুলোকে অপসারণ করেন। পরে খোলাফায়ে রাশেদীনও এই ধারা অব্যাহত রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় সুন্নতের অনুসরণে বর্তমান শাসকরাও কাবাঘর ধোয়া অব্যাহত রেখেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ