নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী আজ।
১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেন।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অধিদফতরের পক্ষ থেকে অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থ মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হারনুর রশিদ জুয়েল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদ হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে.এম লুৎফর রহমান আজাদ ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্ত প্রমুখ।
ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল এক জন প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই নন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন প্রাণপ্রিয় স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে। এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য অবদান রেখেছেন।
জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন, এজন্য অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাকে। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন বেগম মুজিব। বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয়-দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারে বারে পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবন যাপন করছিলেন, তখন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী বঙ্গমাতার কাছে ছুটে আসতেন, তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা বুঝিয়ে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাতেন। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতর।