
সম্পাদকীয় কলাম :
আসন্ন মুসলিম ধর্মের বৃহৎ আনন্দ উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহায় পাকুন্দিয়া সদর সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বসবে কোরবানীর পশুর হাট। জনসমাগম হবে বিভিন্ন বাজারে। করোনা পরিস্থিতিতে এই জনসমাগম মারাত্মক ঝুঁকির কারণও হতে পারে। কোরবানীর পশুর হাটকে কেন্দ্র করে প্রতারক চক্র নানা প্রতারণার ফাঁদ তৈরীতে ব্যস্ত।
পশু কোরবানির হাটে তোলার আগে পশুর পেটে পানিয়ে ঢুকিয়ে মোটা করার মত ঘৃণ্য কাজ করেন কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা।পশুকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রক্রিয়ায় মোটা দেখানোর জন্য পেটে পানি ঢুকানো (পানি খাওয়ানো) হয়। প্রথমে গাছের সঙ্গে পশুটিকে (গরু বা মহিষের) মাথা ওপরের দিকে উঁচিয়ে দড়ি দিয়ে ঘাড় বেঁধে গলায় পাইপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেই পাইপ দিয়ে পশুর পেটে পানি ঢেলে টইটম্বুর করা হয়। এতে পেট অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করে বড় হয়ে যায়, ফলে গরু বা মহিষটিকেও মোটাতাজা দেখায়।কোরবানির পশুর হাটে উঠানোর আগে কিছু অসাধু ব্যাপারী বেশি মুনাফার জন্য পশুর সঙ্গে এমন নিষ্ঠুর আচরণ করে থাকে।
পশুর হাটে প্রতিনিয়তই আমরা শুনতে পাই পকেটমারদের নানা অপতৎপরতা। এসব পকেটমাররা অনেককেই বিভিন্ন মাধ্যামে অজ্ঞান করে হাতিয়ে নেয় নগদ টাকা, মোবাইলসহ সাথে থাকা নানা মূলবান সামগ্রী। কিছু অসাধু চক্র জাল টাকার রমরমা ব্যবসার একটা সুযোগও পেয়ে বসে এসব হাটে। তাই এসবক্ষেত্রে প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত।
পাকুন্দিয়া উপজেলার সদর, মঠখোলা, মির্জাপুর, পুলেরঘাট, কলাদিয়া গো-হাট বাজার সহ বিভিন্ন হাটে প্রশাসনের চূড়ান্ত নজরদারী বাস্তবায়ন করলে টনক নড়বে এসব প্রতারক গোষ্ঠীর। হয়রানী থেকে মুক্তিপাবে ক্রেতা, বিক্রেতারা। পাশাপাশি মানা হবে স্বাস্থবিধি।