কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আল-আমিন (আগুন আমিন) সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করায় মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে আসছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। বাদী মো. আল-আমিন (আগুন আমিন) ‘দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশ’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার।
যে কোনো সময় মো. আল-আমিন (আগুন আমিন) ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ক্ষতি সাধন করতে পারে বলে জানান তিনি। বর্তমানে মো. আল আমিন (আগুন আমিন) ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সূত্রে জানা যায়, মো. আল-আমিন (আগুন আমিন)-এর সাথে একই এলাকার মতলব হোসেন, আব্দুল আজিজ, মিজান মিয়া, সোহাগ মিয়া ও রুবেল, গংদের সাথে পূর্ব থেকে নানান বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উল্লেখ্য, গত ১৪/০৬/২০২০ তারিখে কিশোর গ্যাং কর্তৃক রাম দা ও লাঠি নিয়ে রাস্তায় পিকআপ আটকিয়ে ডাকাতির সময় পুলিশ হাতেনাতে এক দস্যু কে ধরে আটক করে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে
আটক দস্যু সাব্বির রহমান বাবু কে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউজ/সংবাদ প্রকাশ হলে, গত ১৫/০৬২০২০ তারিখ রাতে মো. আল-আমিন (আগুন আমিন)
এগারসিন্দুর থানারঘাট বাজার হতে রাত আনুমানিক ১০টায় বাড়িতে ফেরার পথে
বাইপাস মোড়ে পথ রোধ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারপিট করতে উদ্যত হয়। এসময় মো. আল- আমিন (আগুন আমিন)-এর ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ও টহল পুলিশ এগিয়ে আসতে দেখে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে হুমকি দিতে থাকলে গত ২১ জুন এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানায় মো. আল-আমিন (আগুন আমিন) একটি সাধারণ ডায়েরি করে। জিডি নং ৭১৪ ডায়েরির কথা অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা শুনে, জিডি তুলে নেয়ার জন্য অভিযোগকারী ও তার পরিবারকে কুপিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এবং বাজারের কোনও দোকানদার যেন তার কাছে পণ্য বিক্রি না করে ও কথা না বলে তাহলে দোকানে তালা ঝুলবে, এই বলে দোকানিদেরও হুশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে। বিষয়গুলো থানার ওসি কে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে। অভিযোগকারী জানান, যে কোনো সময় তিনি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদ্বারা আক্রমণের শিকার হতে পারে। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।