
শিক্ষা ব্যবস্থার একটি প্রধান অংশ হল প্রাথমিক শিক্ষা। আর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা যদি বিপর্যস্ত হয় তাহলে মান সম্মত ও যোগ্য শিক্ষার্থী গড়ে তোলা অনেকটাই অসম্ভব। দেশ সেবার দক্ষ কারিগর গড়ে তোলার জন্য মৌলিক শিক্ষা একান্ত অপরিহার্য। আর এই মৌলিক শিক্ষাই হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। এ স্তরের শিক্ষার গুরুত্ব এমন পর্যায়ে যে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে দেশের নানা খাতে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা সম্ভব।বিপর্যস্ত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা, নিয়োগের দীর্ঘসূত্রিতা ও শিক্ষক সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে শূন্যপদ পূরনের ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ প্যানেল নিয়ম প্রবর্তনের ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন চট্টগ্রাম ১৫ এর মাননীয় সাংসদ প্রফেসর ডঃ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিশন-২১ এর আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার হার শতকরা ১০০ ভাগ উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছেন । এ অঙ্গীকারের প্রধান অন্তরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ঝড়ে পড়া। । এ সমস্যা সমাধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও শিক্ষক সংকট জনিত সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এ চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত ১৮,১৪৭ জন শিক্ষককে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে পদায়ন করা হয়। তারপরও শিক্ষক সংকট দূর হচ্ছে না। করোনা পরবর্তী শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য, শিক্ষক সংকট দূরীকরণ এবং শিক্ষার গতি ত্বরান্বিত করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি লক্ষাধিক পদে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই শূন্যপদ গুলো নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূরণ করা বেশ সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। দেখা যাচ্ছে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পরও পূর্বের চাইতে বেশি শূণ্যপদ থেকে যাচ্ছে। যার কারণে শিক্ষক সংকট দূর হচ্ছে না ।
চলমান এই শিক্ষক সংকট দূর করতে মাননীয় সাংসদ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এ চূড়ান্ত ভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত না হওয়া ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থীদের প্যানেলে নিয়োগ দানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেন।