কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ পদগুলো শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা ও পাঠদানে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও ৪০টি বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বে থাকা শিক্ষক দিয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।
শূন্য পদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কিছুদিন পর পর অবগত করা হয়। অচিরেই এ সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাফতারিক কাজ ছাড়াও প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এতে অনেক জায়গায় শিক্ষকদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঠিকমতো পাঠদান দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের গোটা শিক্ষা কার্যক্রম। এ সমস্যার যত দ্রুত সমাধান হবে, বিদ্যালয়গুলোর ফলাফল ততো ভালো হবে বলে শিক্ষকরা মন্তব্য করেন।
৩৩ নম্বর দক্ষিণ চরটেকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমএস আল মামুন বলেন, এমনিতেই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট। এর মধ্যে দাফতারিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। প্রায়ই উপজেলা সদরে যেতে হয়। এসময় একজন শিক্ষককে একসঙ্গে তিনটি শ্রেণিতে পড়াতে হয়। এতে করে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে।
এছাড়াও ওই সব বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হলে তারাও একই কথা বলেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ দৌলত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।
-ডেইলি বাংলাদেশ