নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকুন্দিয়া উপজেলার ঈশাখাঁ কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুলের শিক্ষার্থীরা এগারসিন্দুর এলাকার ঈশাখাঁর দুর্গ পরিদর্শন করেছে। সকালে স্কুলের পঞ্চম শ্রেনী ২০২৪ এর ব্যাচের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে নিয়ে সহকারী শিক্ষক মোছাঃ স্বপ্না আক্তার বৃষ্টি, মোঃ শফিক ইসলাম, মোঃ হৃদয় হোসেন, মোছাঃ শেরীন আক্তার মোঃ জামান মিয়া দূর্গটি পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলায় পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত দীর্ঘ ২৬ বছর যাবত সাফল্যের সাথে পাঠ দান করে আসছে।
ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, লাল মাটি, সবুজ গাছগাছালি আর ঐতিহাসিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ এগারসিন্দুর। এটি ছিল ঈশা খাঁর শক্ত ঘাঁটি। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এগারসিন্দুর। জনশ্রুতি আছে, বেবুধ নামে এক কোচ উপজাতি প্রধান ষোড়শ শতাব্দীতে এগারসিন্দুর দুর্গ নির্মাণ করেন। ঈশা খাঁ বেবুধ রাজার কাছ থেকে দুর্গটি দখল করেন এবং একে শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেন। ১৫৯৮ সালে মান সিংহ দুর্গটি আক্রমণ করেন। এই এগার সিন্দুরেই ঈশাঁ খা ও মানসিংহের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল। কথিত আছে – যুদ্ধের প্রাক্কালে ঈশা খা বলেছিল – সাধারন সৈন্যদের যুদ্ধে না জড়িয়ে দুই দলের দুই প্রধানের যুদ্ধ হোক । এর ফলেই ঈশা খা – মানসিংহের তরবারী লড়াই শুরু হয় । একপর্যায়ে ঈশা খার তরবারীর আঘাতে মান সিংহের তরবারী ভেংগে গে লে । ঈশা খা তাকে আঘাত না করে তার সেনা পতি কে বলেন মানসিংহকে আরেকটি তরবারী দিবার জন্য – তার এই মহানুভব দেখে মানসিংহ আর যুদ্ধ না করে, সন্ধির প্রস্তাব দেন।
১৮৯২ সালের ভূমিকম্পে দুর্গটি ধ্বংস হয়ে গেলেও আজও কিছু কিছু নিদর্শন রয়ে গেছে। দুর্গটি ছিল বিশাল আকারের। দুর্গ এলাকায় এখনও খুঁজে পাওয়া যায় জাফরি ইট, অজানা সুড়ঙ্গ, মৃতপাত্রের ভগ্নাংশ। এটি ছিল ঈশা খাঁর শক্ত ঘাঁটি। এখনও দুর্গের ভেতরে উঁচু একটি টিলার মতো ঢিবি দাঁড়িয়ে আছে, যেখান থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কামান দাগানো হতো।