মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পাকুন্দিয়ায় নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা সাধারণ মানুষ
/ ৮২ Time View
Update : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকুন্দিয়ায় হঠাৎ হু হু করে বেড়ে চলেছে চাল, ডাল, আটা, মসলা, ভোজ্যতেল, সবজি, মাছ, মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। এতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সোমবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার করতে আসা ক্রেতারা নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। সব ধরনের পণ্য বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। কেউ কেউ বাজার না করে বুকফাটা কষ্ট নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়, পেঁয়াজ ১২০ টাকায়, রসুন ২১০ টাকায়, বেগুন ১৬০ টাকায়, ফুলকপি ১৩০ টাকায়, করলা ১০০ টাকায়, বরবটি শিম ১০০ টাকায়, কচুরমুখী ৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, জিরা ৭২০ টাকা, মসুরি ডাল ১১০ টাকা, মটরের ডাল ১৪০ টাকা, চাল ৫০ থেকে ৮০ টাকা, সরিষার তেল প্রতি কেজি ২০০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের মাঝে। দিনমজুরেরা আরো বেশি বিপাকে পড়েছেন। জীবনের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বাজার করতে আসা মামুনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, এমন চলতে থাকলে দুদিন পরে আমাদের পথে বসতে হবে। না খেয়ে থাকতে হবে আমাদের।

জাঙ্গালিয়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ফুরকান মিয়া বলেন, হঠাৎ করেই বাজারের সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে চালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে চাহিদার কুলনায় সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে কাঁচা সবজির দাম চড়া।

মাছ বাজারে গিয়ে জানা যায়, সিলভার কার্প প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি রুই ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বড় চিংড়ি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, কাতল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, কই মাছ ২০০ টাকা, বড় ইলিশ ১৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, ছোট ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বিক্রেতা হাবিব জানান, বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংস ব্যবসায়ী আলামিন জানান, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা, হাঁসের ডিম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

ভোক্তা অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, কাঁচাবাজারের নির্ধারিত মূল্য না থাকায় তারা দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে। বাদ বাকিরাও অন্যদের দেখে কিছু দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

 

পাকুন্দিয়া প্রতিদিন/এসআর

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ