পাপ্র ডেস্ক :
করোনা পরিস্থিতিতে সারাবিশ্ব সহ বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা যখন সংকটাপন্ন ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলা বন্যার পানিতে ভাসতে শুরু করেছে। দেশের গ্রীষ্মকালীন সবজির অর্ধেকের বেশি এখনো মাঠে। আউশ ধানে মাত্র থোড় এসেছে। ভুট্টা মাত্র রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই বন্যা শুরু যেন কৃষকের জন্য অশনি সর্কেত।
বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, বন্যা এরই মধ্যে ১০টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আরও ১০ থেকে ১২ দিন তা চলতে পারে। দেশের ১৮ থেকে ২০টি জেলার নিচু এলাকা এই বন্যায় প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, উজানে অতিবৃষ্টি হওয়ায় এবারের বন্যার পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। দেশের ভেতরেও আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। এ কারণে বন্যার পানি আরও নতুন নতুন এলাকায় দ্রুত ঢুকতে পারে।
ব্রহ্মপুত্রের পানি কুড়িগ্রাম দিয়ে ঢুকে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত চলে এসেছে। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ওই পানি মানিকগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করতে পারে। অন্যদিকে, পদ্মার পানি বেড়ে নিচু এলাকা তলিয়ে যেতে পারে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুরসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে পদ্মার তীরবর্তী জেলাগুলোয় পানি ঢুকতে পারে। সাতক্ষীরা,সিলেট, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে বন্যার পানি ডুকেছে।