পাপ্র ডেস্ক: বৃষ্টি উপক্ষে করে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর সংলগ্ন বেড়িবাঁধে ভিড় করেছেন প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই হাওরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে এসেছেন কয়েক হাজার পর্যটক।
বিশাল জলরাশি ও হাওরের দিগন্ত ছোঁয়া আকাশের অপরুপ দৃশ্যে মুগ্ধ পর্যটকরা। ঈদের পরদিন থেকে নিকলীর বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মানুষ ঈদের ছুটিতে এখানে বেড়াতে আসছেন। পর্যটকদের আগমনে উপজেলার কয়েক হাজার মাঝিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটছে।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের মধ্যে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে নিকলী বেড়িবাঁধ। ঈদ পরবর্তী সময়ে পরিবার নিয়ে কিশোরগঞ্জের এই হাওর পাড়ে ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। ২০০০ সালের দিকে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলা সদরকে বর্ষায় ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় সরকার সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে।
নিকলী বাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,বৃষ্টির মধ্যেই পর্যটকরা ভিজতে ভিজতে বেড়িবাঁধের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছেন। অনেকে আবার নৌকায় করে ঘুরছেন হাওরের বুকে। বর্ষাকালে ট্রলারের মাধ্যমে পর্যটকদের হাওরে ঘুরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন সিদ্দিক মিয়া। এ মাঝি জানান, সারা বছরই তারা এই বর্ষার অপেক্ষায় থাকেন। এ সময় হাওরে পর্যটকদের আগমন ঘটে। তাদেরকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে হাওরের কয়েক হাজার মাঝির সংসার চলে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে হাওরের পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পর্যটকদের ভীড়।
নরসিংদী থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসা শাহরিয়ার হোসেন জানান, তারা ২০ বন্ধু মিলে এসেছেন নিকলী বেড়িবাঁধে ঘুরতে। হাওরে মাত্র নতুন পানি এসেছে। ট্রলারে করে হাওরে ঘুরেছেন তারা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন জানান, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই ঈদের দিন থেকে কয়েক হাজার পর্যটক নিকলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন হাওরে ঘুরতে এসেছেন। তাদের আগমনে সবাই আনন্দিত। উপজেলার প্রায় ১৫-২০ হাজার মানুষ বর্ষা মৌসুমে পর্যটনকেন্দ্রীক জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তাদের জন্য এটি খুবই ইতিবাচক।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষনিক কাজ করছে থানা পুলিশ। বেড়িবাঁধ এলাকায় সাদা পোশাকে এবং পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে রয়েছেন।