
পাকুন্দিয়া উপজেলার পোড়াবাড়ীয়া বৈশাখী মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শরীফ খান নিহতের ঘটনায় খায়রুল নামের আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার পাকুন্দিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু একটি ক্ষুদে বার্তায় পাকুন্দিয়া প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃত খাইরুল উপজেলার পোড়াবাড়ীয়া গ্রামের এংরাজ মিয়ার ছেলে। শনিবার বিকেলে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্ল্যেখ্য, ২৫ এপ্রিল রাতে উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের পোড়াবাড়িয়া মেলা বাজারে গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন স্থানীয় যুবক সজীব, সোহেল ও শাহিনসহ কয়েকজন। গান চলাকালে রাত ১টার দিকে আয়োজকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন গান শুনতে আসা শরীফ খান, আজাদ মিয়া ও লিটন মিয়া। তাতে শরীফ, আজাদ ও লিটন গুরুতর আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে শরীফ মারা যান। শরীফ খান উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের গণিত বিভাগে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) নিহতের পিতা আবুল হোসেন বাদি হয়ে মেলা আয়োজন কমিটির সধারণ সম্পাদক ও নারান্দী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোসলেহ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় ২৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-৩০জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এখন পর্যন্ত ০৬(ছয়) আসামীকে গ্রফতার করা হয়েছে।
পাপ্র/সুআআ