এ কেমন বেঁচে থাকা
তিমির ভেদ করে ভোরের আলোয় সকাল
কিন্তু
প্রতিটা সকালের সেই তাড়া,
অফিস কিংবা মিটিংয়ের
মর্নিংওয়াক কিংবা ইয়োগার
বাজার কিংবা নাশতার –
আর নেই।
সকাল গড়িয়ে প্রায় দুপুর
তবুও
মানুষের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
এখনো তীব্র নয়!
আষাঢ়ের মধ্যাহ্ন পেরিয়ে
প্রখর তপন হেলিছে পশ্চিমে
অথচ
নির্ঘুম রাতের ঘুমহীন ঘুম
এখনো ভাঙ্গেনি
এ কোন আড়ষ্টতা
এ কী জড়তা!
এ কোন ক্লীবত্বে নিমজ্জিত মানুষ
লিপ্ত সময়…
চাকরি আছে দায়িত্ব নেই
শ্রম বিক্রির অনন্যোপায়
তীব্রতা আছে লোকের
অথচ কাজ নেই!
বিকল হচ্ছে যন্ত্র উৎপাদন নেই
ক্ষুধার জ্বালা আছে খাবার নেই
সপ্তপদী খাবার আছে ক্ষুধা নেই!
টিভির পর্দায় যোগ করি সংখ্যার
মানুষ নয়, লাশের
লাশ, মৃত কিংবা জীবিত!
এ সন্ধ্যা নাকি সকাল
রাত না দিন
ভর দুপুর নাকি গভীর নিশীথ?
নির্জন গভীর রজনী
একাকী, উফ!
সময় —
যাপিত সময় এই কি জীবন?
কোথায় সেই উদ্দামতা, কর্মে উদ্যোগে
সৃষ্টে, শ্রমে-ঘামে পরিশ্রান্ত
কায় ক্লেশে বিপর্যস্ত
কিন্তু উজ্জ্বল আশায়…
বদ্ধ বাস্তবতা, মর্ম বিহীন কর্ম
উদ্দেশহীন সরীসৃপের হামাগুড়ি
নষ্ট সমীর, কলুষিত মন
লুণ্ঠিত মানবতা, ধর্ষিত আত্মার বীভৎস বাসনা।
নিধিরাম সর্দার
আহা! জীবন –
তবুও
বেঁচে খুশি
সত্যিই কি আছি বেঁচে?
মানুষকে বাঁচতে হয়
বেঁচে থাকতে হয় প্রাণে
কিংবা প্রাণহীন জীবনে!
এ কেমন বেঁচে থাকা??
মোঃ আবুল বাশার (সৌরভ),
প্রভাষক, বাংলা বিভাগ, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।