শাহরিয়া হৃদয়ঃ
আশরাফুল আলম লিমন। পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী মুন্সি বাড়ী এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে। দুইভাই ও একবোনের মধ্যে সে সবার ছোট।
ছোটবেলা থেকে নিজ মেধা, পরিশ্রম এবং আন্তিরকতায় মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। সর্বশেষ পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছিলেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে।
কিন্তু বিধিবাম! গত সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন মাত্র ২৬-২৭ বছর বয়সী লিমন।
সূত্র জানায়, পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরতে বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো লিমন। ঢাকার একটি ট্রেনিং সেন্টারে ভাষাও শিখাও শুরু করে। সোমবার সকালে হটাৎই অসুস্থতা অনুভব করলে সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর এলাকায় নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার এমন মৃত্যু কাঁদাচ্ছে তার পরিবার, স্বজনসহ পুরো পাকুন্দিয়াবাসীকে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, লিমনের পরিবারে তার বাবাই উপার্জনক্ষম। তার বড়ভাইও সৌদি আরবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েই মৃত্যু বরণ করেছিলো।
লিমনের মৃত্যুতে সহপাঠীরা বলছেন, অত্যন্ত সাদা মনের মানুষ ছিলো সে। দেখা হলে হাসিমুখে কথা বলাসহ সবার খোঁজ খবর নিতো। তার এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউ।
লিমনের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ওয়াল ছেয়ে গেছে তার শোক সংবাদে।