স্টাফ রিপোর্টারঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া কৃষক রিটন হত্যা মামলায় ৪ ভাই, ১ বোন ও ভাবীসহ ৭জনের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ আদেশ দেন।
এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ সময় মামলার ১ নং আসামি নজরুল বাদে অন্য ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলা সুখিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের চার ছেলে ও এক মেয়ে নজরুল (৪৫), খোকন (৪৭), সাত্তার (৪২), বকুল (৪৪), চম্পা আক্তার (৪২)। নজরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩২)। একই ইউনিয়নের ঠুটারজঙ্গল গ্রামের মকু মিয়ার ছেলে মোঃ সৈয়দ (৫৭)।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট দিলিপ কুমার ঘোষ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী জানা গেছে, জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা সুখিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামে বাড়ির সীমনায় গাছ কাটা নিয়ে ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর সহোদর ভাই-বোনদের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রিটন মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সহোদররা। পরে প্রতিবেশিরা গুরুতর আহত আবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্ত্যবরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একইদিন নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার বাদি হয়ে সাতজনকে আসামি পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালে ১৯ অক্টোবর মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
পাপ্র/সুআআ