মোঃআরমান হোসেন
কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া উপজেলায় একটি রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায় ১০ হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুই যুগেও মাটিদিয়ে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন ও মানুষের চলাফেরায় অনুপযোগী হয়ে পরেছে। উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের পাকুন্দিয়া কিশোরগঞ্জ সড়কের পাশে কোদালিয়া নিদুরবাড়ি থেকে চিলাকারা মাগুরা প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,চন্ডিপাশা ইউনিয়নের কোদালিয়া নিদুর বাড়ি থেকে চিলাকাড়া গ্রামের মাগুরা আজহার মিয়া বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থা। দু যুগ আগে মাটি বরাট করেন এই রাস্তার অনেকাংশে বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ যেকোন যানবাহন চলাচলে রাস্তাটি বিপদজনক হয়ে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা আরো ভংঙ্কর হয়ে পরে। রাস্তাটি জুগনিপাড়া থেকে বন্দরে বাড়ি হয়ে চিলাকাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বাকি রাস্তা সম্পূর্ণ কাঁচা। তার অবস্থা আরো ভয়াবহ।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কোদালিয়া থেকে চিলাকাড়া পর্যন্ত গত ২০১৭-২০১৮ সালের অর্থ বছরে কাবিটার বরাদ্ধে কাজ করা হলেও বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই রাস্তা ভেঙেচুরে বেহাল হয়ে পরেছে। এ সময় লক্ষ্য করা গেছে রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ একটি বাইসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। পুরো রাস্তায় রয়েছে ৩টি ব্রীজ। ব্রীজের দুই পাশের রাস্তার মাটি সড়ে গিয়ে পথচারীদের উঠা নামায় কষ্টকর হয়ে পরেছে। কিছু কিছু স্থানে রাস্তার দুই পাশের দখলদারিতে রাস্তা সুরু হয়ে যাচ্ছে, এতে করে মাঝেমধ্যেই পথচারীরা দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে।
জুগনিপাড়া, বনদের বাড়ি,চিলাকাড়া, মাগুরা, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা কয়ার খালি, জুগিয়ালি পাঠাবুগা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত ওই রাস্তাটি বেহালের কারণে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটি সংস্কার কাজের জন্য চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ডাঃ মজনু মিয়া বলেন, এখানকার মানুষ প্রয়োজনে কোথাও গেলে তাদের প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যানবাহনে চড়তে হয়। অটোরিকশা চালক নয়ন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তা বেহালের কারণে নিজ গ্রামে অটোরিক্সসা কোনো প্রকার চলাচল করতে পাড়ি না অন্য এলাকার গাড়ি আসতে চায় না।
মাগুরা গ্রামের
আঃহান্নান বলেন, কোদালিয়া থেকে -চিলাকাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় দুই যুগ আগে মাটি বরাট করা হয়েছিল। রাস্তার এখন খানাখন্দে ভরে গেছে। অনেকাংশে রাস্তার কোনও অস্তিত্ব নেই সব বিলীন হয়ে গেছে।
কৃষক আজিজুল হক বলেন, অসুস্থ রোগী দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়। রাস্তা খারাপের কারণে কোনো গাড়ী পাওয়া যায় না। এছাড়াও রাস্তা খারাপের কারণে চাষাবাদের সময় সার, আলু বীজসহ যেকোনো কৃষি উপকরণ আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও তাদের অধিক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাস্তাটি পাকুন্দিয়া ও কিশোরগঞ্জ সদর দুই উপজেলার জন্য খুবই গুরুতপূর্ণ। কারণ হিসেবে এলাকাবাসী জানান, পাকুন্দিয়া টু কিশোরগঞ্জ সংযোগ রাস্তা এটি। এলাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একমাত্র প্রধান রাস্তাটি পাকা করনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয়রা।