সময় চলে যায় সময়ের আবর্তে। সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। কারো আনন্দ-বেদনা-বিষাদে কিছু যায় আসে না। সে চলে আপন গতিতে। তেমনিভাবে মহাকালের আবর্তে হারিয়ে গেল আরো একটি বাংলা বৎসর ১৪২৯
বাঙালির নববর্ষ একটি অনন্য উৎসব। মূলত কৃষিকাজ ও খাজনা সংগ্রহের ব্যবস্থাকে ঘিরে এর প্রচলন, পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের দেনা-পাওনার হিসাব মেটানো। দিনে-দিনে পহেলা বৈশাখ হয়ে ওঠে এক সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাংলা ভূখন্ডের সব মানুষের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ।
আজ ১ বৈশাখ। বাংলা সনের হিসাবে আরেকটি নতুন বছরের শুরু। স্বাভাবিকভাবেই একবার পেছন ফিরে দেখার তাগিদ কাজ করে সবার মধ্যে। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়েই মানুষের জীবন। বিগত বছরে পাওয়া-না পাওয়ার হিসাবটাই তাই আগে চলে আসে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হলো জন্ম নিলো নতুন দেশ-আমাদের প্রানের বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালে একাত্তরের দেশি-বিদেশি পরাজিত শক্তি মিলে পরিবার পরিজনসহ নির্মমভাবে পরিবার-পরিজনসহ হত্যা করা হয় স্বাধীনতার স্থপতি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকে। মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা হাল ধরেন বাংলাদেশের। মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। অচিরেই উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে যায় বাংলাদেশ।
সবমলিয়ে গত হওয়া ১৪২৯ এর চেয়ে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ সকল অঙ্গনেই ভাল কিছু করবে এমনটি প্রত্যাশা আমাদের। আমরা নতুন বছরকে বরণ করে নেব। আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির ধারাকে ঋদ্ধ ও বেগবান করার শপথ নেব। সব শোক-জরা-গ্লানি ঝেড়ে ফেলে নতুন বছর দেশবাসীর জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা বয়ে আনবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। শুভ হোক ১৪২৮।
নববর্ষে পাকুন্দিয়া প্রতিদিনের অগণিত পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, বিপণনকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীর প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
নতুন বছর নতুন প্রত্যয়ে ভাল কাটুক!!!
আবুল খায়ের মো: আল হাসানাত
সম্পাদক ও প্রকাশক
পাকুন্দিয়া প্রতিদিন