
ডেস্ক রিপোর্ট : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সালুয়াদী গ্রামের কৃতী সন্তান প্রখ্যাত ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক প্রয়াত সিরাজুল ফরিদের স্মরণে আলোচনা ও ছড়াপাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
গতকাল ৮ এপ্রিল, শনিবার বিকাল ৩টায় সন্দীপন সাহিত্য আড্ডার উদ্যোগে ও সালুয়াদী স্বপ্ন পাঠাগার ও সংগ্রহশালার সহযোগিতায় লেখকের জন্মভিটার মসজিদ প্রাঙ্গনে স্মৃতিচারণমূলক এক আলোচনা সভা ও ছড়াপাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়।
কবি ও ছড়াকার গোলাপ আমিনের সঞ্চালনায় সন্দীপন সাহিত্য আড্ডার সভাপতি কবি ও ছড়াকার বিজন কান্তি বণিকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক, ভ্রমণলেখক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দীন, কবি মেরাজ রাহীম, ইউপি সদস্য মো. ইমাম হোসেন মোড়ল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি আমিনুল ইসলাম সেলিম।
আলোচনা ও স্বরচিত লেখা পাঠে অংশগ্রহণ করেন কবি বান্দা হাফিজ, কবি সাদরুল উলা, কবি ফরিদ উজ-জামান পলাশ, কবি কামরুন নাহার সাথী, কবি খলিল ইমতিয়াজ, কবি রাশেদ মনির, কবি আসিফ খন্দকার, কবি আল আজাদ, কবি তৌকির ইসলাম তন্ময়, কবির চাচাতো ভাই ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া জুয়েল।
আরও উপস্থিত ছিলেন ছড়াকার তাহমিনা সুলতানা রত্না, মুহাম্মদ রবিন সরকার, হারুন অর রশিদ, মো. রফিক উদ্দিন, কবির ভাতিজা মনিরুল ইসলাম, সুজন মাহমুদ, আলামিন, মো. আসাদুজ্জামান, মো. রিটন মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে প্রয়াত লেখকের সাথে নানা স্মৃতির খণ্ড খণ্ড চিত্র তুলে ধরেন। সেইসাথে তিনি একজন পরিশ্রমী নিষ্ঠাবান ও সৎ-সাহসী লেখক ছিলেন বলে অভিমত পেশ করেন।
আসর নামাজ বাদ প্রয়াত লেখকের কবর জিয়ারত ও দোয়া করা হয়।
প্রধান আলোচক মাহফুজুর রহমান বক্তব্যে বলেন, ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ আমাদের পাকুন্দিয়া তথা কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের একজন গর্বিত মানুষ ছিলেন। বাংলাসাহিত্যের একজন সুপরিচিত উজ্জ্বল মুখ ছিলেন তিনি। বাংলা একাডেমি পরিচালিত কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাওয়ায় তিনি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত হয়েছিলেন। এটি তাঁর অনেক আগেই প্রাপ্য ছিল। তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান ও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ (২০২৩ খ্রি.) তারিখে নারায়ণগঞ্জের রঘুনাথপুরের নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত অসুখে ভোগে প্রায় ৮০ বছর বয়সে স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে তিনি ইন্তেকাল করেন।
পাপ্র/সুআআ