হুমায়ূন কবির : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শহীদদের স্মরণ ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাত নয়টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কিশোরগঞ্জ-১ ( পাকুন্দিয়া – হোসেন পুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম. শামসুল হক (গোলাপ মিঞা) এর কবর সংলগ্নে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেন গোলাপ মিঞা স্মৃতি সংসদ।
মোমবাতি প্রজ্বলন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম. শামসুল হক (গোলাপ মিঞা)-র ছেলে একেএম দিদারুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর অমানুষিক হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার উদ্দেশ্য কাজ করছেন।
গোলাপ মিঞা স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, আমরা ২৫ মার্চের বেদনাকে হৃদয়ে ধারণা করবো। দেশকে ভালোবাসবো, দেশের কল্যাণে কাজ করবো।
সাধারণ সম্পাদক এটিএম খলিলুল্লাহ শাকিল বলেন, ২৫ শে মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস স্বীকৃতি দেবে বিশ্ব। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই। কীভাবে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে, লাখ লাখ শহীদের আত্মা শান্তি পাবে- সে জন্য কাজ করে যাবো।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গোলাপ মিঞা স্মৃতি সংসদ এর উপদেষ্টা একেএম দিদারুল হক, গোলাপ মিঞা স্মৃতি সংসদ এর সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক, সাধারণ সম্পাদক এটিএম খলিলুল্লাহ শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক সেফায়েত হোসেন মাসুম, অর্থ সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম মাসুদ, তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ হিরন মিয়া, সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য রাকিব ভুইয়া, মোঃ রাজিন, মোঃ মোবারক হোসেন, পাকুন্দিয়া পৌর যুবলীগের সদস্য হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
পাপ্র/সুআআ