আজ কোন কাহিনী বা কল্পচিত্র নিয়ে বলব না, বলব এমন এক লোকের কথা যিনি আমার প্রথম প্রেরণা যোগাতেন সাংবাদিকতা পেশা বা নেশা হিসেবে নেওয়ার জন্য। তিনি হলেন মরহুম সাংবাদিক মানিক ভাই। তিনি আমাদের মাঝে নেই। উনার সাথে উঠা বসা বা সংস্পর্শে আসার বহুবার সুযোগ হয়েছে। আসলে আজ কোন দলমত নিয়ে বলব না , উনি ছিলেন সাহস, ধৈর্য আর নিরব ভালবাসার অনন্য প্রতীক। কিভাবে কি হয়ে গেল? হঠাৎ তিনি আমাদের ছেড়ে পারি জমান না ফেরার দেশে। সকলেই হয়তো উনাকে চিনবেন। অনেকে উনার সাহস দেখেই হয়তো ভালোবাসতেন।
পাকুন্দিয়ার বহু বিষয়ে উনার লিখনীর মাধ্যমে সমাধানের পথ খুজে পেয়েছে। তিনি মানবজমিনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে জড়িত ছিলেন। আর একটি কথা আজ পাকুন্দিয়ার সাংবাদিকের ছড়াছড়ি সবাই একই ধরণের একই মন-মানসিকতার নয়। অনেকের মাঝে সাপে-নেউলের সম্পর্ক । যখন সামাজিক যোগাযোগ নির্ভর সাংবাদিকতার কথা ভাবাই যেত না তখন তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের (ফেইসবুকে) মাধ্যমে পাকুন্দিয়ার মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সত্য এবং সঠিক সংবাদটি সবার আগে। আজোও যারা পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাংবাদিকতা, সাহিত্যচর্চা বা বিভিন্ন জনহিতৈষী কাজের সাথে জড়িত আছেন তাদের কাছে প্রিয় মানুষটি হলেন মানিক আহমেদ। তাদের একটাই কথা যে যদি উনার সাথে হাজারো ঝামেলা হয় তবোও যদি একবার উনার কাছে যাওয়া যায় তাহলে সাত খুন মাফ, বুকে টেনে নিতেন নির্দ্বিধায়।
প্রয়াত সাংবাদিক মানিক আহমেদের সাথে বহুদিন চলেছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি এখনো সাংবাদিকতা পেশায় রয়েছেন, নাম আশরাফুজ্জামান অপু, যিনি দৈনিক জনতা, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় (পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রতিনিধি) কাজ করছেন। উনাকে মানিক ভাই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে বলেন,
এখন সাংবাদিকতাটা অনেকটা এককেন্দ্রীক পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা নিজেদের দায়িত্বটুকুকে বানিজ্যিকিকরণ করে ফেলেছে অর্থাৎ জাতি, দেশ, সমাজ এর প্রতি যে দ্বায়বদ্ধতাটুকু রয়েছে তা হারিয়ে ফেলেছে আর সেখানে মানিক ভাই ছিলেন দলমত নির্বিশেষে সত্যের পক্ষে অন্যায়ের সাথে আপোষহীন এক সংগ্রামী সাংবাদিক।
তিনি আরো বলেন,
তিনি সত্যের পক্ষে কাজ করার জন্য বহুবার বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন এবং মৃত্যু অবদি বেশ কয়েকটি মামলার আসামী ছিলেন।
পাকুন্দিয়া সতীর্থ পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুম মানিক ভাইয়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
স্মরণে :
ক.ম. জোনায়েদ আহমেদ
এডমিন (পাকুন্দিয়া সতীর্থ)