বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বাংলাদেশেও দ্রুতগতিতে বাড়ছে মৃত্যু ও সংক্রমণ। তবে এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন অনেকেই।
তেমনই একজন পাকুন্দিয়া বাজারের ফল ব্যাবসায়ী জীবন মিয়া।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় ১০ রোজায় ১৩ রোজায় করোনা পজেটিভ আসে। এর মাঝেই বাড়ির সকলে করোনা পরীক্ষা করেন। তাদেরও নেগেটিভ আসে।
গত ২ এবং ৩ জুন তার করোনা পরীক্ষার পর ফলাফল নেগেটিভ আসে। নিজের করোনা জয়ের গল্প জানিয়েছেন ব্যাবসায়ী জীবন মিয়া (২৫)।
নিজের আত্মবিশ্বাসের বর্ণনা দিয়ে জীবন মিয়া বলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। মনকে শক্ত করলাম। নিয়মিত যোগাযোগ করি চিকিৎসকের সাথে। তারাই বলে দেন কীভাবে গরম পানি ও ওষধ ব্যবহারে সুস্থ হয়ে উঠতে পারি আমি।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষধসহ ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার খেতে থাকি। তার নেয়া বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে জীবন মিয়া বলেন, ‘মাল্টা ও আপেল খাই প্রতিদিন দুই বেলা। বেশি করে আদা-লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে দিনে ৩-৪ বার খেয়েছি। আদা, দারচিনি, এলাচ, রসুন, লবঙ্গ দিয়ে পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে গরম ভাপ নিতাম দিনে দুবার (সর্বোচ্চ ১০ মিনিট করে) এবং চায়ের মতো খেতাম দুই বেলা। দিনে একবার কালোজিরা এবং মধু মিশিয়ে খেতাম। গলা ভেজা রাখতে খেতাম লবন মাখানো আদা। গোসলও করতাম হালকা গরম পানি দিয়ে।
এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দেইনি। প্রতিদিন ঘর জীবাণুমুক্ত করতাম স্প্রে দিয়ে। আর মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য আমি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি বিভিন্নভাবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, সকাল থেকেই দিনভর গলা ভেজা রাখতাম। এক কথায় নিজের সাহস ধরে রাখতে ভুলে যেতাম যে আমি করোনায় আক্রান্ত একজন রোগী। এটা ঠিক যে কখনোই কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি আমার, তাই স্বাভাবিক থাকতে পেরেছি সহজে, বলেন তিনি।
জীবন মিয়া বলেন, করোনা আক্রান্ত হলে ভয়ের কিছু নেই। কারণ ভীত হয়ে পড়লে ক্ষতি হবে আরও বেশি। তাই সতর্ক এবং সাহসী হতে হবে। তাহলেই মিলবে সুস্থতা। ‘যেমনটা এই মুহূর্তে আমি অনুভব করছি। আর ঠিক ১৪ দিন পর পরীক্ষা টেস্ট করিয়েই আমার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।’
সবশেষে, আতঙ্কিত না হয়ে সকল করোনা রোগীকে সাহসের সাথে ‘করোনা’ জয়ের আহ্বান জানান তিনি।