নাজমুল
বিষয়টা পাকুন্দিয়ার সকল সাংবাদিকদের কাছে কেমন আমি জানিনা, কিন্তু আমার জন্য বিব্রতকর মনে হচ্ছে। পাকুন্দিয়ার সাংবাদিকদের মধ্যে একতা নেই। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত আছি এবং নিজের চোখে বিভিন্ন সময় সাংবাদিক হয়রানিও দেখেছি। এর কারণ হচ্ছে সাংবাদিকদের মাঝে একতা না থাকা। সব সাংবাদিক নির্যাতনই অপরাধীদের কাজ নয়, কখনও কখনও আমাদের পেশার প্রতি অন্য মানুষের দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ ও হতাশা থেকেও এটি হতে পারে।
একজন একটা কাজ করলো তো আরেক জন সেটাকে হিংসাত্মক চোখে দেখে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলে দিলো। এক সাংবাদিক আরেক সাংবাদিককে নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করবে ঠিক আছে কিন্তু সমালোচনা কেনো..?
বিভিন্ন সময় নিজের কাছে নিজেই এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি।
আমাদের এই দেশে সবকিছু গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বিবেচনার এক সংস্কৃতি আমরা চালু করেছি। যেখানে যা-ই ঘটুক না কেন, আমরা সবগুলোকে নিজেদের দলসূত্রে বেঁধে ফেলি। দল বেঁধে নিজেদের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের লাভ-লোকসান নিয়ে ভাবি। এটাই বিপর্যয়ের মূল কারণ।
পক্ষপাতমূলক সাংবাদিকতা কখনো সফলভাবে টিকে থাকতে পারে না। নিজ অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এই মনোভাব খুব আমোদদায়ক নয়। এক শ্রেণির ‘তথাকথিত সাংবাদিকদের’ হীন কর্মকাণ্ডে গোটা দেশের মানুষ ধীরে ধীরে এই পেশার প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্তা হারাচ্ছে।
সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পন তাই সমালোচনা বা পক্ষপাতিত্ব না করে আসুন আমরা সবাই হাতে হাত রেখে একতাবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে চলি। সাংবাদিক গোষ্ঠীর মাঝে হিংসা, ক্ষোভ নিজেদের ঘরোয়া কোন্দল ভুলে ভালবাসার ঐক্য গড়ে তুলি। ঐক্যের বলয়ে অন্যায়-অনাচার এবং দূর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। আমাদের পাকুন্দিয়াকে সন্ত্রাস দূর্নীতি,মাদক মুক্ত একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলি।
সংবাদকর্মী,পাকুন্দিয়া।