Pakundia Pratidin
ঢাকারবিবার , ১ নভেম্বর ২০২০
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইতিহাস
  3. ইসলাম ও জীবন
  4. কৃতি সন্তান
  5. জাতীয়
  6. জেলার সংবাদ
  7. তাজা খবর
  8. পাকুন্দিয়ার সংবাদ
  9. ফিচার
  10. রাজনীতি
  11. সাহিত্য ও সংস্কৃতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মহানবীর মহানুভবতা

প্রতিবেদক
Nazmul
নভেম্বর ১, ২০২০ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সুলতান আফজাল আইয়ূবী
অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবী। ন্যায়-নীতিহীন সমাজের অন্ধকার। পৌত্তলিকতা ও গোত্রপ্রথার অন্ধকার। নারীদেরকে ভোগের বস্তু ও নিকৃষ্ট জাতি হিসেবে নারীদের উপর চালানো নির্মম অত্যাচারের অন্ধকার। মিথ্যা আর পাপাচারে তাণ্ডবলীলায় মানবতা তখন মুমূর্ষু। পুরো পৃথিবী তখন  জাহিলিয়্যাতের চরম অন্ধকারে আচ্ছন্ন। সেই অন্ধকারময় পৃথিবীতে যে মানুষটি সত্য, ন্যায়-নীতি, ইনসাফ , প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহর প্রেরিত ঐশী  বার্তার বিচ্ছুরিত আলোক রশ্মি মানব জাতির সম্মুখে উপস্থাপন করেছেন,  সেই আলোকময় বার্তার আলোকচ্ছটায় তিনি মানুষকে জাহেলি যুগের গাঢ় অন্ধকার থেকে উদ্ধার করে শাশ্বত আলোকময় পথের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং মানুষকে দাসত্ব ও শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে আলোকিত মানবরুপে গড়ে তুলেছেন। বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা হয়ে আলোকিত করেছেন পুরো বিশ্ববাসীকে, সেই মানুষটি হলেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত,বিশ্বজাহানের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,আলোর দিশা,হেদায়াতের দিশারী, বিশ্ব নবী,হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
যিনি তার সুমহান আদর্শ দিয়ে জয় করে নিয়েছিলেন পৃথিবীবাসীর হৃদয়। তার এ মহান আদর্শের কথা মহান আল্লাহ তা’য়ালা মহাগ্রন্ত্র আল কুরআনে উল্লেখ করেছেন ‘ আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। ( সূরা কলম ৪) 
ঐশী বানী পেয়ে এ মহামানব নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন মক্কার মানুষদেরকে দ্বীনের পথে দাওয়াত দিতে শুরু করেন। মক্কা পৃথিবীর  পবিত্রতম নগরী হিসেবে স্বীকৃত। এই শহরেই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৫৭১ খি.বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্ম গ্রহন করেন। মক্কা নগরীর হেরাগুহায় তিনি কুরআনের প্রথম ওহী লাভ করেন। ওহী প্রাপ্ত হয়ে তিনি মক্কার মানুষদেরকে সত্যের পথে,আলোর দিকে আহবান করতে শুরু করেন। মহান আল্লাহর পথে মক্কার মানুষদেরকে দাওয়াত দিতে থাকেন। সেই দাওয়াত জ্ঞানীরা সহজেই গ্রহন করত। আশ্রয় গ্রহন করতো সত্যের পতাকা তলে। আবার কেউ সত্য পেয়েও মিথ্যার আশ্রয় গ্রহন করতো। কেউ কেউ আবার নবীজীকে নানাভাবে কষ্টও দিত। খোঁচা দিয়ে কটু কথা বলত। তবুও আমাদের দয়ার নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে কিছু বলতেন না। দয়ার নবীজী নীরবে সবকিছুই সহ্য করতেন। এই বিপদে নবীজীর চাচা আবু তালেব তার পাশে ছিলেন।
আবু তালেব ছিলেন মক্কার গুণী মানুষ। তাকে শ্রদ্ধা ও মান্য করে। তার সম্মুখে তার ভাতিজাকে কেউ কষ্ট দিতে এলে তিনি বাঁধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতেন। ছোটবেলায় মা-বাবা হারানো  নবীজীর আশ্রয়স্থল ছিল এই চাচা আবু তালেব। তিনি সামনে এসে দাঁড়ালে নবীজীকে কেউ আর কিছু বলার সাহস পেত না। একদিন তার এ ছায়াও উঠে গেল। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন চাচা আবু তালেব। চাচা আবু তালেবের ইন্তেকালের সাথে সাথে কাফেরদের অত্যাচারের মাত্রাও আরো  বেড়ে গেল। নির্মম,নির্যাতন সয়ে এভাবে আর কতদিন থাকা যায়?
মক্কাবাসীরা সত্য কথা শুনতে চায় না। সাম্য ও ন্যায়ের পথে চলতে চায় না। তাই নবীজী ভাবলেন, অন্য কোথাও যাওয়া যায় কিনা। সত্যের এ বানী প্রচারে তিনি তায়েফ চলে গেলেন। তায়েফ মক্কা প্রদেশেরই আরেকটি শহর। নবীজীর মনের আকাশে তখন উঁকি দিচ্ছে অনেক স্বপ্ন। তারা হয়ত শুনবে আল্লাহর কথা। শুনবে সত্যের বাণী। অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথে আসবে হয়তো তায়েফবাসী। নবুয়্যতের দশম বছর। শাওয়াল মাসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পালিত পুত্র  যায়েদ বিন হারেস রাযিয়াল্লাহু আনহুকে সঙ্গে নিয়ে তায়েফ শহরে পাড়ি জমালেন। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়েফবাসীর পাশে দশ দিন অতিবাহিত করেন। তিনি তায়েফের নেতৃস্থানীয় লোকদেরকে প্রথমে ইসলাম গ্রহনের দাওয়াত দিলেন। তিনি তায়েফের সাকীফ গোত্রের কাছে গেলেন। প্রথমে কথা বললেন আবদে ইয়ালীলসহ তায়েফের আরো কয়েকজন নেতৃস্থানীয় লোকদের সাথে। কিন্তু তাদের কপাল ছিল মন্দ। আলোর ডাক পেয়েও তারা ডুবে রইল অন্ধকারে। বিশ্ব নবীজীর কথা শুনল না। এমনকি পুড়া কপালের সর্বনিকৃষ্ট কাজ তারা করলো। নবীজীকে নিয়ে তারা ঠাট্রা বিদ্রূপ করা শুরু করল। একপর্যায়ে ইতর,দুষ্ট ছেলেদেরকে তাঁদের পেছনে লেলিয়ে দিল। দুষ্ট ছেলেরা দয়ার  নবীজীকে চিনতে না পেরে অশ্লীল গালমন্দ আর পাগলের মত চ্যাঁচামেচি শুরু করল। নির্মমতার চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র দেহের ওপর পাথর মারতে শুরু করল। সারিবদ্ধভাবে তারা নবীজীর দুই পাশে থেকে ইট – পাটকেল মারতে শুরু করলো।  পাথরে আঘাতে নবীজীর প্রতি কদমে তার পা মোবারক থেকে রক্ত প্রবাহিত শুরু করলো। তাদের পাথরের আঘাতে রক্তাত্ত হলো বিশ্ব মানবতার মহান আদর্শ। কেঁপে ওঠলো পুরোবিশ্ব। যিনি মুমূর্ষু মানবতার আঁধার রাতের পথপ্রদর্শক তিনই আজ কতিপয় মানবদের আঘাতে  রক্তাত্ত হলেন। রক্তাত্ত হয়ে নবীজির জুতা দুটি রক্তে লাল হয়ে উঠল। এ দৃশ্য দেখে যায়েদ রাযিয়াল্লাহু আনহু কেঁদে উঠলেন। যে চরণ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ চরণ, আজ সেই চরণ মোবারক আল্লাহর শক্রুদের হাতে রঞ্জিত। যায়েদ বিন হারেস রাযিয়াল্লাহু আনহু পাথর বৃষ্টি থেকে নবীজীকে বাঁচাতে নিজেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেন। নবীজীকে পাথর বৃষ্টি থেকে রক্ষা করার শত চেষ্টা করে তাঁর মাথায়ও যখমের সৃষ্টি হল। এভাবে পাথর নিক্ষেপের ভেতরে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে তাঁরা তায়েফ হতে প্রায় তিন মাইল দূরে অবস্থিত রবীআর দুই ছেলে উতবা ও শাইবার আঙুর বাগানে গিয়ে আশ্রয় নিলেন।
কী অন্যায় ছিল তাঁর, যে কারণে তারা তাঁকে কষ্ট দিল, রক্ত ঝরাল? নবীজীর রক্তে তায়েফের মরুপথ রঞ্জিত হল। সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে অবশেষে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার পথ ধরলেন। তাঁর হৃদয়ে তখন হতাশার কালো মেঘ। তিনি যখন ‘করনুল মানাযিল’ নামক মহল্লায় পৌঁছলেন। বিশ্রামের জন্য একটু বসলেন। নবীজীর ক্ষত বিক্ষত পবিত্র দেহ মোবারককে একটু বিশ্রাম দিচ্ছিলেন। হঠাৎ অত্যাশ্চার্য এক দৃশ্য দেখা গেল,নীল আকাশের একখন্ড ঘন মেঘ অনিন্দ্য সুন্দর, যার স্বর্ণ-কিরণে পৃথিবী আলোকিত,মানবতার আলোকবর্তিকা এ মহামানবের উপর কোমলভাবে ছায়া বিস্তার করে নবীজীকে বুকে টেনে নিচ্ছে। নবীজীর এ দুঃখের শোক প্রকাশ করে আকাশ সূর্যের তাজাল্লীকে মেঘে ঢেকে দিল। প্রখর রৌদ্র নবীজীকে সালাম জানালো। মরুর তপ্তরোদে শীতলতার স্পর্শ। নবীজীর প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। নবীজী চোখ তুলে তাকালেন উপরে। দেখেন মেঘ থেকে জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডেকে বলছেন হে আল্লাহর প্রিয় হাবীব  ‘আল্লাহ তাআলা আপনার সাথে তায়েফ সম্প্রদায়ের আচরণ ও কথোপকথন শুনেছেন এবং পাহাড়ের ফেরেস্তাকে পাঠিয়েছেন আপনার কাছে। তাদের ব্যাপারে যা খুশি আদেশ করতে পারেন তাকে। জিবরাঈল (আ.) আরও বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দিন! তাদেরকে তায়েফের দুই পাশের দুই পাহাড় আবু কুবাইস ও কুআইকিয়ান পাহাড়ের মাঝে ফেলে এক চাপ দিয়ে তাদেরকে চিরতরে মাটির সাথে মিশিয়ে দেই। রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ব মানবতার মুক্তির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করেছেন। তিনি কিভাবে এ মানবতার ধ্বংস কামনা করবেন।নবীজীর হৃদয়ে ভালবাসার ঢেউ উঠলো।তিনি শান্ত কণ্ঠে জবাব দিলেন, না! তাদেরকে মারবেন না, ‘হয়ত আল্লাহ তাআলা তাদের বংশধরদের মাঝে এমন লোক সৃষ্টি করবেন, যারা শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদত করবে। তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।(সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩২৩১)
কি আবেগভরা আত্মনিবেদন! কত সুন্দর মহানুভতার উত্তর! কত মমতাভরা মন! কত উজ্জ্বল আশার প্রদীপ! মানুষের জন্য কত দরদ ছিল নবীজীর। যারা তাঁকে কষ্ট দিল তাদের জন্য কত দরদমাখা উত্তর দিয়েছেন নবীজী। এ যেন মহাপুরুষের জলন্ত নমুনা প্রকাশিত হলো।মহাপুরুষগণ বুঝি এমনই হন।
এ প্রসঙ্গে আয়েশা (রা.) বলেন, তিনি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন ওহুদ যুদ্ধের চেয়েও কোনো কঠিন দিন কি আপনার জীবনে এসেছিল? জবাবে নবীজি তায়েফের এই মর্মান্তিক দিনের বর্ণনা দিয়েছেন। অথচ,নবীজীর সবচেয়ে মর্মান্তিক এই দিনে তিনি মানুষের ব্যাথায় ব্যাতিত হয়েছেন। বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে এর চেয়ে যুগান্তকারী ইতিহাস আর কি হতে পারে?
শত্রুকে হাতের মুঠোয় পেয়েও মহানবী (সা.) ক্ষমা ও উদারতা প্রদর্শন করে পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নবম হিজরিতে আরবের বনু তাঈ গোত্রের সঙ্গে যুদ্ধ হয় মুসলমানদের। উক্ত যুদ্ধে তাঈ সম্প্রদায় পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় সিরিয়ার দিকে। আর অনেকে বন্দি হয়ে মুসলমানদের হাতে আসে। বন্দিদের মধ্যে একজন ছিলেন পৃথিবীখ্যাত দানবীর হাতেম তাঈয়ের কন্যা। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে ডেকে বললেন, ‘হে তাঈকন্যা! তোমার বাবা ছিলেন ঈমানদারের চরিত্রে উদ্ভাসিত। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার ও দাতা চরিত্রের মানুষ। যাও, তোমার বাবার খাতিরে আমি তোমাকে মাফ করে দিলাম। গুনবতী তাঈকন্যা এ কথা শুনে জবাবে বললো , আমি আশা করি, আপনি আমার সঙ্গে আমার গোত্রের সব বন্দিদেরকে  ছেড়ে দেবেন। নবীজি (সা.) তাঈ কন্যার মধ্যে মানবিকতার এই গুণ দেখে মুগ্ধ হলেন। তিনি তার আবেদন মেনে নিয়ে সবাইকে মুক্ত করে দিলেন এবং প্রত্যেকের পথের খরচ সহ তাদেরকে সিরিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। শত্রুপক্ষের এক অচেনা নারীর প্রতি এমন উদারতা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে? যার প্রমান মহানবী দেখিয়েছেন। মানুষের জন্য কি অসীম দরদ ছিল নবীজীর? মহানুভবতার জলন্ত সাক্ষী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । মক্কার কাফেরদের অমানবিক নির্যাতনে অসহ্য হয়ে প্রাণের জন্মভূমি ত্যাগ করেছিলেন মহানবী । দীর্ঘ ৮ বছর পর দশম হিজরীতে সেই প্রাণের মক্কা নবীজীর পদতলে আসে। কাফেররা তখন ভয়ে ভীতস্থ। আর বুঝি রক্ষা নেই। মুহাম্মদ আমাদের থেকে বদলা নেবে। কিন্তু রহমতের নবী সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘোষণা দিলেন, ‘আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। তোমরা সবাই আজ মুক্ত। আমি তোমাদের থেকে কোনো প্রতিশোধ নেব না।’ বিশ্বনবীর এ ক্ষমা ও উদারতাকে ঐতিহাসিকগন এভাবে চিত্রিত করেছেন, ‘মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পায়ের তলায় অবনত অবস্থায় সব শত্রুকে পেয়েও তাদের প্রতি ক্ষমা ঘোষণা করে যে অনুপম আদর্শ স্থাপন করেছেন এর নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই।’
মানবতার দরদী এ মহাপুরুষ। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, শ্রেষ্ঠ মানবতার দীপ্তিমান রাসূল ও মহামানব। এরুপ অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁর আখলাক-চরিত্র ছিল মহান!
আমাদের নবীজীর চিন্তা ছিল কত সুন্দর, কত সুমহান! মন কত উদার। আমরা এমন মহান নবীর উম্মত। আমরা কী হতে পারি না নবীজির মতো দয়ালু হৃদয়ের মানুষ। আমাদেরও এমন উদার হতে হবে। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই হলেন আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। তাই আমাদেরও সবাইকে ক্ষমা করা শিখতে হবে। আমাদের মনও হতে হবে স্বচ্ছ-শুভ্র। হতে হবে ফুটন্ত গোলাপের ন্যায় সুন্দর ও সুরভিত। বিশ্বমানবতার শ্রেষ্ঠ এ মহামানবের নির্দেশিত পথেই রয়েছে আমাদের সর্বাঙ্গীণ কল্যান। এ পথে চললেই আমাদের জীবন হবে সত্য,সুন্দর ও সার্থক।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, পাকুন্দিয়া প্রতিদিন

slot777 spaceman pragmatic slot server vietnam slot server thailand slot server kamboja pgslot bocoran admin jarwo slot777 kakek zeus x500 slot server kamboja slot server thailand slot server vietnam slot server thailand slot server kamboja pgslot slot server hongkong slot server singapore slot server vietnam akun slot wso slot222 akun pro malaysia akun pro jepang demo slot pgsoft akun pro malaysia akun pro hongkong slot server luar akun pro kamboja akun pro thailand akun pro vietnam akun pro singapore akun pro jepang slot server thailand slot demo slot server kamboja slot heylink thailand slot heylink kamboja slot heylink malaysia slot heylink filipina slot heylink jepang slot heylink hongkong slot heylink vietnam slot heylink myanmar slot heylink singapore slot heylink china slot singapore server luar negeri