হুমায়ূন কবীর, স্টাফ রিপোর্টারঃ অপহরণের শিকার হয়ে কৌশলে পালিয়ে বাঁচলেন তারাকান্দি মডেল টেকনিক্যাল স্কুলের পঞ্চম শেণির শিক্ষার্থী মোঃ ইমন।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। পরে সিএনজি অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায় সে। মোঃ ইমন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি মডেল টেকনিক্যাল স্কুলের পঞ্চম শেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ড্রেস পরে স্কুলে বাড়ির সামনের হোসেনপুর টু পাকুন্দিয়ার আঞ্চলিক মহাসড়কে কাজীহাটি এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার জন্য অপেক্ষায় কিন্তু দু’দিন বৃষ্টির কারণে ব্যাটারি অটোরিকশা কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে-ও কোন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা না পেয়ে একটা সিএনজি অটোরিকশা উঠে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ পরে স্কুলের সামনে এসে যখন স্কুলের শিক্ষার্থী মোঃ ইমন যখন গাড়ি থেকে নামতে চায় তখন সিএনজি অটোরিকশা না দাড়িয়ে দ্রুত ঢাকার দিকে যাচ্ছে। ভিতরে থাকা দুইজনের কথা কর্ণপাত না করে সিএনজি অটোরিকশা দ্রুত ঢাকার দিকে যাচ্ছে, কয়েক মিনিট পর স্কুল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে পাকুন্দিয়া পৌর সদরের বরাটিয়া চৌরাস্তা বাজারে স্পিড ব্রেকারের কাছে এসে গাড়ির গতি কমানো হলে গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায় ইমন অপর যাত্রীকে নিয়ে চলে যায়।
ইমন বরাটিয়া চৌরাস্তায় লাফিয়ে পড়ে দৌঁড়ে পাশের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা একজনের মোবাইল দিয়ে তার পিতাকে ঘটনাটি অবগত করে।
পথচারী জানান, চৌরাস্তা থেকে ছেলেটা দৌড়ে এসে তার সামনে এসে পড়ে যায়। আমাকে বলেন তার পিতার সঙ্গে কথা একটু মোবাইলে কথা বলার। তার পিতাকে জানানোর পর সহপাঠীদের নিয়ে এসে ছেলেকে নিয়ে যায়।
ছেলে টির বাবার নাম মোঃ ইলিয়াস। তিনি তারাকান্দি বাজারের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী, বাড়ি জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ডগারের পাড়।
অপহরণের স্বীকার মোঃ ইমন জানায়, ওই গাড়িতে আরও একটা ছেলে ছিল। তার মতো ওকেও অপহরণ করা হয়েছে। সে-ও নামার চেষ্টা করেছিল।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোঃ সারোয়ার জাহান বলেন, ছেলেটি সম্ভবত পাচারকারীদের হাতে পড়েছিল। তবে বুদ্ধির জোরে সে বেঁচে গেছে।
পাপ্র/হুমায়ুন/শাহরিয়া