Pakundia Pratidin
ঢাকাশনিবার , ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইতিহাস
  3. ইসলাম ও জীবন
  4. কৃতি সন্তান
  5. জাতীয়
  6. জেলার সংবাদ
  7. তাজা খবর
  8. পাকুন্দিয়ার সংবাদ
  9. ফিচার
  10. রাজনীতি
  11. সাহিত্য ও সংস্কৃতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দিনাজপুরের ইউ এনও,শঙ্কিত জনতা

প্রতিবেদক
Nazmul
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০ ৮:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সীমান্তবর্তী এলাকা দিনাজপুর। সীমান্ত এলাকা সব ধরনের অপরাধের রামরাজ্য। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় চলছে মাদক কারবার সহ সব ধরনের অপকর্ম।এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউ এনও) ওয়াহিদা খানম। সরকারি কিছু জমি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় বলে ধারনা করেন অনেকেই। এটাকে সুত্র ধরেই ভোররাত ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসার টয়লেটের ভেল্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা ঢুকে। ইউএনও তা টের পেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।সে সময় তার বাবা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। ভোররাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উপরোল্লেখিত ঘটনাটি বাঙ্গালি জাতির জন্য চরম লজ্জাজনক। বিবেকবানদের হৃদয়ে এই ঘটনাটি চরম নাড়া দিয়েছে। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ” চুরি আরও সিনাজুরি” এখানে এমনটাই ঘটেছে। এক তো তারা অপরাধী দ্বিতীয়ত অপরাধের প্রতিবাদ করায় তাদের উপর হামলা। তারপরও প্রশাসনকে হামলা!

যখন প্রশাসন মানুষকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখে তখন পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, সরকারের বড় কর্তা নিজেই তার ঘরে নিরাপদ নন, তাহলে আমরা কোথায় যাব? সাধারন মানুষ তখন যে জীবিত আছে এটাই বড় সৌভাগ্য।

দুঃখজনক হলেও সত্য হামলার সাথে জড়িত শীর্ষ দুজনই ক্ষমতাশীল সরকার দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের শীর্ষ নেতা। সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটেই এর আগে গত মে মাসে পৌর মেয়রকে প্রকাশ্যে যুবলীগ নেতারা উপজেলা চত্বরে পিটিয়েছে। এই আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বলেছেন, ‘আটক হওয়া যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর বেপরোয়া টাইপের। কিছুদিন আগে আমার ওপরও হামলার চেষ্টা করেছিলো।’ বোঝা গেল স্বয়ং এমপি মহোদয়ও এদের সমীহ করে চলেন।

এখন প্রশ্ন হলো এসব যুব নেতারা এত দাপট কোথায় হতে পায়? তাদের এত ক্ষমতার উৎস কোথায়? যদিও অনেকেই বলেন “সন্ত্রাসীর কোনো দল নাই” এটা সত্য কি মিথ্যা তা আমরা যাচাই না করলেও এটা সত্য যে সন্ত্রাসীদের দল না থাকলেও অনেকক্ষেত্রে সন্ত্রাসীরা ক্ষমতাসীন দলকে ব্যবহার করে তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। তাই দলের প্রত্যেকটি কর্মী সম্পর্কে দলের হর্তাকর্তাদের ধারনা রাখা উচিত। তারা দলীয় পদ পেয়ে কে? কোথায়? কি করছে? এগুলো দলের স্বার্থেই খোঁজে দেখা উচিত। নয়তো দলের ভাবমূর্তি দিন দিন ক্ষুন্ন হবে। ক্ষমতাসীন দলের অনেক ত্যাগী কর্মীরাই আফসোস করে যে, তারা বঞ্চিত, বরং অন্য দল থেকে অনেক দুর্বৃত্ত দলে ঢুকে দল ও দেশের ক্ষতি করছে। এই অভিযোগটি গুরুতর। কিন্তু গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে দল কতটুকু বহিরাগমন ঠেকাতে পারছে এটা লক্ষণীয়।

সবচেয়ে বড় কথা, প্রশাসনকে সরকার দলের নেতারা হামলা করায় দল ও দেশ দুটোই লজ্জিত। এ পৈশাচিক চিত্র দেখে সাধারন জনতা শংকিত। এখন কিভাবে এই বর্বরতা বন্ধ করা যায় এটার স্থায়ী সমাধান করার দ্বায়িত্ব সরকারের। আর সরকারের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের সহযোগী হতে হবে জনগনকে। সরকার ও জনগনের যৌত উদ্যোগে শান্তিময় বসবাস যোগ্য হবে প্রিয় বাংলাদেশ। দেশের স্থায়ী স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের পৈশাচিক বর্বরতাকে থামাতেই হবে। আমাদের এ চাওয়াগুলো কি উর্ধতন মহল কখনও ভেবে দেখবে?

কবি ও গণমাধ্যমকর্মী
nobosur15@gmail.com

slot777 spaceman pragmatic slot server vietnam slot server thailand slot server kamboja pgslot bocoran admin jarwo slot777 kakek zeus x500 slot server kamboja slot server thailand slot server vietnam slot server thailand slot server kamboja pgslot slot server hongkong slot server singapore slot server vietnam akun slot wso slot222 akun pro malaysia akun pro jepang demo slot pgsoft akun pro malaysia akun pro hongkong slot server luar akun pro kamboja akun pro thailand akun pro vietnam akun pro singapore akun pro jepang slot server thailand slot demo slot server kamboja slot heylink thailand slot heylink kamboja slot heylink malaysia slot heylink filipina slot heylink jepang slot heylink hongkong slot heylink vietnam slot heylink myanmar slot heylink singapore slot heylink china slot singapore server luar negeri