
ছবির মতই সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে গোটা সিকিমে
ছবির মতই সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে গোটা সিকিমে। সবুজ পাহাড়ের পড়তে পড়তে স্থাপত্যকলায় নির্মিত দালানের বাড়িঘর কিংবা স্বচ্ছ ঝর্ণা আর পাথরের লুকোচুরি মন কাড়ে পর্যটকদের। আকর্ষণীয় আলপাইন গাছের সৌন্দর্যের জন্য অনেকেই ‘প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড’ নামেও অভিহিত করেন। প্রাকৃতিক এমন সৌন্দর্য দেখতে এখন পর্যটকদের ভীড় জমেছে ভারতের এ রাজ্যে।
চীন ও ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য সিকিম ভ্রমণে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল বাংলাদেশসহ চারটি দেশের পর্যটকদের জন্য। তবে গত বছরের শেষদিকে বাংলাদেশীদের জন্য খুলে দেয়া হয় সিকিমের দরজা। প্লাস্টিকমুক্ত এ রাজ্যজুড়েই পাহাড়, পাহাড়ী গাছ আলপাইনের সারি, উপত্যকায় যেন হারিয়ে যায় মন। সিকিমের নীলাভ আকাশের বুকে মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে তুষারে ঢাকা পর্বতশৃঙ্গ। যেখানে ভোরের সূর্যের আলোকছটা সৃষ্টি করে অপরুপ এক সৌন্দর্যের আঁধার।
নান্দনিক উপস্থাপনায় গড়ে তোলা হয়েছে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের নানা স্থাপনাও। উঁচু পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে উঁকি মারে দারুণ সুন্দর গ্রাম। সিকিমের দিগন্তজুড়ে বিস্তৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়ের গা বেয়ে হাজার হাজার ফুট ওপরে ওঠার জন্য পিচঢালা সড়ক ও আছড়েপড়া ঝর্ণাসহ পাথর বিছানো স্বচ্ছ পানির নদীর টানে ছুটে আসছেন বহু বাংলাদেশীও। তারা বলছেন, সরকার উদ্যোগ নিলেই সিকিমের মতই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বাংলাদেশও হতে পারে বিদেশী পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
এদিকে, ভারতের পর্যটনখাত সংশ্লিষ্টরা জানান, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আত্মীয়তার সম্পর্ক বংশপরম্পরায়। তাই ভারত থেকেও বহু ভ্রমণপিয়াসী বাংলাদেশ যেতে আগ্রহী। তাই যাতায়াতব্যবস্থা ও ভিসা পদ্ধতি আরো সহজ করা উচিত বলে মনে করেন তারা। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটনকেন্দ্রগুলো ভ্রমণে সবচে বেশি আগ্রহী ভারতীয়রা। তাই এগুলোকে ভ্রমণবান্ধব করে গড়ে তোলার দাবি উঠেছে।
